স্বদেশ ডেস্ক:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের চম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ২৮ নভেম্বর। এ নির্বাচন ঘিরে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে নানা শঙ্কা। ভোট ছিনতাইসহ সহিংসতার আশঙ্কায় এই ইউপির চেয়ারম্যানপ্রার্থী মো. আবদুল লতিফ মোড়ল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়সহ ১৩টি সরকারি দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং ভোট ছিনতাই ঠেকাতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
জানা গেছে, এই ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোজাম্মেল হক গাইন, আওয়ামী লীগের (বিদ্রোহী) আনারস প্রতীকের প্রার্র্থী মো. আবদুল লতিফ মোড়ল ও মোটরসাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হান্নান। নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াই হবে মূলত মোজাম্মেল হক গাইন ও আবদুল লতিফ মোড়লের মধ্যে।
চেয়ারম্যানপ্রার্থী আবদুল লতিফ মোড়ল গত রবিবার ১৩টি দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। কিন্তু আমার প্রতিপক্ষ মোজাম্মেল হক গাইন একের পর এক ভোটারদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। আমার জনপ্রিয়তা দেখে তিনি ঈর্ষান্বিত হয়ে এ কাজ করছেন। ইতোমধ্যে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। পত্রিকায় মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে আমার সুনাম ক্ষুণœ করার চেষ্টা করছেন। দ্রুত চম্পাফুল ইউনিয়নে র্যাব, পুলিশ, প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ করে তদারকি না বাড়ালে সাধারণ ভোটাররা ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবে।
চিঠি পাঠানোর ব্যাপারে আবদুল লতিফ মোড়ল বলেন, নৌকার টিকিট পেয়ে মোজাম্মেল হক গাইন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার শুরু করেছেন। প্রকাশ্যে ভোট ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এ জন্য আমি থানায় ইতোমধ্যে জিডি করেছি। এ ছাড়া ১৩টি দপ্তরে চিঠি দিয়ে ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার দাবিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগের দাবি জানিয়েছি। তবে জানতে চাওয়া হলে মোজাম্মেল হক গাইন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আবদুল লতিফ মোড়লই আমাকে হুমকি দিচ্ছেন।